Header Ads

নবজাতক শিশুর৫টি রোগ

ছোট শিশুদের ত্বক খুবই সংবেদনশীল। নানা কারণে শিশুদের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। কিছু কিছু সমস্যা আমরাই সৃষ্টি করি। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এগুলো তেমন বড় সমস্যা নয় এবং ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। আসুন জেনে নিই শিশুর ত্বকের সাধারণ সমস্যাগুলো।

মাসি-পিসিনবজাতকের জন্মের প্রথম সপ্তাহে সাধারণত দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে সারা শরীরে যে লাল লাল দানা দেখা যায়, তাকে গ্রামবাংলায় মাসি-পিসি বলা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর নাম ইরাইথেমা টক্সিকাম নিওনেটোরাম। মুখ, হাত, পা—এমনকি সারা দেহেই হতে পারে এটি। ১০ দিনের মধ্যে এগুলো এমনিতেই সেরে যায়। এর জন্য কোনো চিকিৎসা লাগে না। 

জন্মদাগ
নবজাতকের শরীরে ১ থেকে ১০টি কালো বা রঙিন জন্মদাগ থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সাধারণত মাতৃগর্ভে থাকার সময় বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে এই দাগ পড়ে। এগুলো জন্মের পর পর বা কয়েক মাস পরও দেখা যেতে পারে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই, তবে প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে জেনে নিতে পারেন এটি সত্যি জন্মদাগ কি না। অনেক জন্মদাগ সময়ের সঙ্গে ফিকে হয়ে আসে।
খোসার মতো ত্বক
ত্বক অনেক সময় হালকা পেঁয়াজের খোসার মতো উঠে আসে। একে বলে পিলিং। ত্বকের শুষ্কতার জন্য এটি হয়। নবজাতককে গোসল দেওয়ার পর তেল বা লোশন শরীরে লাগিয়ে দিলে এই শুষ্কতা অনেক কমে আসে। এটি বহিরাবরণ এবং নিম্নত্বক সুস্থই থাকে।
ডায়াপার র‌্যাশ
ডায়াপার সংলগ্ন অংশ যেমন ঊরুসন্ধি ও পশ্চাদ্দেশ অনেক সময় লাল হয়ে যায়, চুলকায় বা দানা দানা হয়ে যায়। এটি ডায়াপার র‌্যাশ। ডায়াপার ঘন ঘন না পাল্টালে ও খুব শক্ত করে আটকালে এমন হয়। র‌্যাশ দেখা দিলে যতটা সময় সম্ভব ডায়াপার ছাড়া রাখুন। ভেজা ডায়াপার দ্রুত পাল্টানো উচিত। খুব লাল হলে জিংক অক্সাইড ক্রিম ব্যবহার করতে হতে পারে।
শিশুর ব্রণ
খুব ছোট শিশু এমনকি নবজাতকের মুখেও পিম্পল বা ব্রণের মতো দেখা যায়। এটি তরুণ-তরুণীদের ব্রণের মতো নয়। মায়ের রক্তে হরমোনের প্রভাবে এই ব্রণ হয়। এরও চিকিৎসার কোনো প্রয়োজন নেই। কিছু দিনের মধ্যে আপনাতেই সেরে যায়। আবার ত্বকে যে সাদা সাদা দানা হয়, তাকে মিলিয়া বলে। এটিও স্বাভাবিক ব্যাপার ও চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়।

1 comment

Anonymous said...

Good

Powered by Blogger.